ইউনিয়ন পরিষদ জনবল –
১) নির্বাচিত পরিষদ সদস্য – ১৩ জন।
২) ইউনিয়ন পরিষদ সচিব – ১ জন।
৩) ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ – ৯ জন।
তথ্য কমিশনের কাজ চলছে ধীরগতিতে। আছে জনবলের স্বল্পতা এবং নেতৃত্বের অভাব। এ কারণে কমিশন সরকারের কাছ থেকে যে বরাদ্দ পাচ্ছে, তার বেশির ভাগই খরচ করতে পারছে না।
২০০৯ সালের জুলাই থেকে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে তথ্য কমিশন। কমিশনের সর্বশেষ ২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, দরিদ্র জনগণ নিজস্ব উদ্যোগে এ আইনের সুফল ভোগ করতে পারছে না।
আইনটি প্রচারে ৬৪টি জেলা এবং সব উপজেলায় কমিশন এখন পর্যন্ত জন অবহিতকরণ সভা ও সেমিনার করতে পারেনি। কমিশনের পক্ষ থেকে বিলবোর্ড স্থাপন এবং প্রচারপত্র তৈরির কথা থাকলেও তা দৃশ্যমান নয়। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কমিশনে অভিযোগ দাখিল হয়েছে ৩০৬টি। ত্রুটিপূর্ণ এবং আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় কমিশন ১৩৮টি অভিযোগ আমলে নেয়।
দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ১৩ হাজার ৬৮০ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মধ্যে কমিশন এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছে।
তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনবলের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে কমিশন কাজ করতে পারছে না। এ ছাড়া কমিশনে সঠিক নেতৃত্বেরও অভাব আছে।
কাজে ধীরগতি: কমিশনের রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত শতভাগ জনবল নিয়োগ দেওয়ার কথা। তবে জনবলের কাঠামো অনুযায়ী ৭৬টি পদের মধ্যে কমিশনে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে কাজ করছেন ৪০ জন। তথ্য অধিকারবিষয়ক গবেষণা ও নিউজলেটার প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। তথ্য অধিকারবিষয়ক জারিগান ও নাটক প্রচারের ব্যবস্থাও হয়নি।
বরাদ্দ ফেরত যাচ্ছে: তথ্য কমিশন সরকারের কাছ থেকে যে থোক বরাদ্দ পাচ্ছে, তা খরচ করতে পারছে না। কমিশন বলছে, জনবলের স্বল্পতায় বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দের বড় একটি অংশ ফেরত যাচ্ছে। তবে এ খাত ছাড়াও অন্যান্য খাতের বরাদ্দ কেন ফেরত যাচ্ছে, তার সদুত্তর দিতে পারেননি কমিশনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা।
২০১২-১৩ অর্থবছরে তথ্য কমিশনের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ ছিল চার কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয় করে কমিশন।
২০১১-১২ অর্থবছরের বরাদ্দপ্রাপ্ত সাত কোটি ২০ লাখ টাকার মধ্যে কমিশন ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করে। বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ফেরত গেছে, কিন্তু অন্যান্য মঞ্জুরি খাতের এক কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে কমিশন খরচ করতে পারে মাত্র এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরেও ছয় কোটি ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দের মধ্যে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশন ছয় মাসে ব্যয় করে ৮৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অন্যান্য মঞ্জুরি চার কোটি ৮২ লাখ ২৭ হাজার টাকার মধ্যে কমিশন খরচ করে ৬৫ লাখ ১১ হাজার টাকা।
২০১২-১৩ অর্থবছরে তথ্য কমিশনের জন্য চার কোটি ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের মধ্যে প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। গত ১৮ এপ্রিল তথ্য কমিশনের এক সভায় জানানো হয়, প্রশিক্ষণ খাতে কমিশনের ব্যয় হয়েছে ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, কমিশনের টাকা যে খাতে বরাদ্দ, সেই খাতেই ব্যয় করতে হয়। জনবলের সংকট থাকায় এ খাতের টাকা ব্যয় হচ্ছে না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস